দুর্নীতির অভিযোগে যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায় ও তার পরিবারের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তথ্য কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
রনজিৎ কুমার রায়: যশোরে ১০২২ শতক জমি ও পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি। দলিল মূল্য: ৬ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ২২০ টাকা।
নিয়তি রানি রায় (স্ত্রী): তিনটি বাড়ি, দুটি ফ্ল্যাট ও ৩৮ শতক জমি। দলিল মূল্য: ১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ টাকা।
রাজীব কুমার রায় ও সজিব কুমার রায় (পুত্রদ্বয়): যৌথ নামে থাকা ২৩ দলিলের সম্পদের মূল্য: ৩ কোটি ৮০ লাখ ১২ হাজার টাকা।
রাজীব কুমার রায়: যশোর নিউমার্কেটে একটি ফ্ল্যাট ও সজীবের সঙ্গে যৌথ নামে সম্পদ। মূল্য: ২ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
সজীব কুমার রায়: যশোর নিউমার্কেটে একটি ফ্ল্যাট, ৬০টি নির্মাণাধীন দোকান, ১৬৫ শতক জমি ও রাজীবের সঙ্গে যৌথ নামে সম্পদ। দলিল মূল্য: ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ১৫০ টাকা।
ফ্রিজকৃত ব্যাংক হিসাব:
রনজিৎ কুমার রায়: ২৫টি ব্যাংক হিসাব।
নিয়তি রানি রায়: ২১টি ব্যাংক হিসাব।
রাজীব কুমার রায়: ৫৩টি ব্যাংক হিসাব।
রাজীবের স্ত্রী রিশিতা সাহা: ২০টি ব্যাংক হিসাব।
সজীব কুমার রায়: ১২টি ব্যাংক হিসাব।
সজীবের স্ত্রী অনিন্দিতা মালাকার: ৬টি ব্যাংক হিসাব।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাজিদ-উর-রোমান সংশ্লিষ্টদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই আদেশের মাধ্যমে রনজিৎ রায় ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদ এখন আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় এলো। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।